পার্বত্যাঞ্চল এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত-ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার :
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, সেই অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর নেই। পার্বত্যাঞ্চল এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। পাহাড়ে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আ’লীগের উন্নয়নের ১২বছর আগে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের অবস্থা কেমন ছিলো। ১২বছর পর কেমন উন্নয়ন হয়েছে। খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার রাস্তার পাশে মানুষ ধান রোপণ করছে। বান্দরবান এবং রাঙামাটির সীমান্ত সড়কের কাজ চলছে। রাঙামাটিতে অনেকগুলো বেইলি ব্রিজ নির্মান করা হয়েছে। তবে কিছু সদস্যা আছে সেগুলো অচিরেই দূর হয়ে যাবে।
রোববার (১৫আগষ্ট ২০২১) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ১১টায় অনলাইন ফ্লাটফর্ম জুম এর মাধ্যমে রাঙামাটি জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি জানান, পাহাড়ের আনাচে-কানাচে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই নেই সেখানে সোলার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি মহল পাহাড়ের উন্নয়নে বাঁধা প্রদান করে যাচ্ছে। তারা অতীতেও এ উন্নয়ন চায়নি।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও জানান, পাহাড়ের প্রধান সমস্যা হলো- ভূমি সমস্যা। যারা সমালোচনা করেন, যাদের সাথে শান্তি চুক্তি হয়েছে তাদের বলবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে তা ভাল ভাবে দেখুন। শান্তিচুক্তির প্রতিটি শর্ত, প্রতিটি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করা হবে; কেবল সময়ের ব্যাপার।
তিনি বলেন, শত কাজের মধ্যে এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার মূল কারণ হলো- আমি পাহাড়কে ভালবাসি। পাহাড়ের রক্ত ক্ষরণ এড়াতে, গোষ্ঠি দ্বন্ধ ঘটনা বন্ধ করতে এবং অশুভ শক্তি মোকাবিলা করতে অংশ নিয়েছি। সারাদেশে যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা পাহাড়েও সেই উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। করোনার ভ্যাকসিন পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। করোনার প্রথম ধাক্কা আমরা পার করেছি। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে পৃথিবীর অনেক দেশ অর্থনৈতিক ধ্বস নেমেছে সেখানে আমাদের দেশে আর্থিক কোন সংকট নেই। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রাঙামাটি জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, করোনার পরিস্থিতি উন্নতি হলে আপনার এই মাসে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিন। করোনার কারনে সম্মেলন বন্ধ ছিলো। আপনারা আগে উপজেলা এবং ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন শেষ করবেন।
জুম মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় এসময় পার্বত্য চট্গ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, দপ্তর সম্পাদক রফিক আহম্মেদ তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মমতাজ উদ্দীনসহ সংগঠনটির জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দরা জুম মিটিংয়ে অংশ নেন।