শ্রাবনের বৃষ্টি স্নাত পাহাড়ি প্রকৃতি কাছে ডাকছে

১১৪

॥ মোহাম্মদ সোলায়মান ॥
উচু নিচু সবুজ পাহাড় ছুঁয়ে যাচ্ছে শরতের মেঘ। বৃষ্টি ভেজা সবুজ গাছপালা। পানিতে টৈটম্বুর কাপ্তাই হ্রদ। বৃষ্টির ছোয়ায় সতেজ হয়েছে সবুজ প্রকৃতি। ফুলে ফুলে ভরে গেছে বন বনানী। পাখ পাখালির অবাধ বিচরণ। সব মিলে এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি এখন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। শরতের সাজে নান্দনিক পাহাড় কাছে ডাকছে করোনায় ঘরবন্দি মানুষকে। বৃষ্টি ভেজা পাহাড়ের রূপ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
করোনা মহামারির কারণে মানুষ যখন ঘরবন্দি তখন প্রকৃতি ছিলো স্বস্তিতে। টানা লকডাউনের কারণে জনসমাগম না থাকায় প্রকৃতি নতুন রূপ নিয়েছে। মেলে ধরেছে লুকানো সব সৌন্দর্য। মহামারি করোনার বিষন্নতা কাটাতে প্রকৃতির কোলে ঝাপিয়ে পড়ছে মানুষ।
১৯ আগস্ট পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় পার্বত্য এলাকায় আসতে শুরু করে দেশের বিভিন্ অঞ্চলেন মানুষ। স্বাভাবিকভাবে শীত মৌসুমে মানুষ ভ্রমনে বের হলেও পার্বত্য এলাকায় সারা বছর থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। বর্ষাকালেই পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেড়ে যায়। তাই শরতে পাহাড়ের এসে ভ্রমনপিপাসুরা পেল প্রকৃতির নতুন ছোয়া।

চট্টগ্রাম থেকে আসা সাগর পাল জানান, “করোনায় দীর্ঘদিন ঘরবন্ধি থাকার পর মুক্ত হাওয়ায় বের হলাম। এ সময়ে রাঙামাটি এসে দেখতে পেলাম পাহাড়ি এলাকার কি অপরূপ সৌন্দর্য। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ।” কাপ্তাই হ্রদেও পানি বাড়ায় এ দৃশ্য আরো আর্কষনীয় হয়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, “বর্ষাকালে পার্বত্য এলাকার কি সৌন্দর্য তা এখানে না এসে কেউ বুঝতে পারবে না।”

রাঙামাটির প্রবীন ব্যক্তিত্ব রাঙামাটি প্রতিবন্ধি স্কুল ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবচার জানান, প্রকৃতির বর্তমান অবস্থা দেখলে বুঝা যায় আমরা মানুষ কতটা প্রকৃতির উপর অমানবিক আচরন করি। করোনার সময় মানুষর উৎপাত না থাকায় প্রকৃতি তার আপন গতিতে বেড়ে উঠেছে। এখন দেখা যাচ্ছে প্রকৃতির আসল রূপ। সারা বছর যেন আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি সে জন্য মানুষকে প্রকৃতির উপর আরো সদয় হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এর কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ সোয়েব জানান, বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী  সময় হলো পাহাড়ের প্রকৃতি দেখার মুখ্যম সময়। এ সময় পাহাড়ের প্রকৃতিতে সতেজতা থাকে।

Facebook Comments Box
You might also like