দ্রুত কাজ শুরু হচ্ছে, চুয়েট হয়ে ট্রেন আসবে কাপ্তাই

১৩৮

ডেস্ক রিপোর্ট

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ১৯৮০ সালে চালু হয় শাটল ট্রেন। দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এটি, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন ট্রেনযোগে।
এবার সেই সুযোগ তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদেরও।
চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া হয়ে রেলপথ যাবে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে। এছাড়াও চুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হবে স্টেশন, যেখানে থামবে ট্রেন।
নগরের চান্দগাঁও জানালীহাট থেকে চুয়েট হয়ে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। ৪২ কিলোমিটারের ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। প্রতি কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হবে ১০৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৭১৪১ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহের প্রস্তাব করেছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, মহাপরিকল্পনায় (২০১৬-২০৪৫) কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। তবে ২০২২ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। ডুয়েলগেজ রেললাইনের একটি নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অর্থায়ন জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনে দুটি পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ভাবা হচ্ছে। প্রথমটি চট্টগ্রামের জালানীহাট থেকে চুয়েট এবং পরবর্তীতে চুয়েট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা।
প্রথম পর্যায়ে জানালীহাট থেকে চুয়েট পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ৫৫ শতাংশ ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে চুয়েট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন, চুয়েট শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। এটি আমাদের প্রাণের দাবি ছিল। আমরা উপাচার্যকেও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।
চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল সুবিধা আছে। আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপিকে এখানেও যোগাযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে জানিয়েছিলাম। তার প্রচেষ্টায় আমরা ট্রেন সুবিধা পেতে যাচ্ছি। প্রথমে চুয়েটে স্টেশন করা যায় কিনা- এমন প্রস্তাবনা দেই। পরে জরিপ শুরু হয়। এখন তা বাস্তবায়নের পথে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে চুয়েট ঘেঁষে পর্যটন কেন্দ্র কাপ্তাই পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে উপজেলা উপশহরে পরিণত হবে। মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে। পাশাপাশি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে কাপ্তাইয়ের প্রতি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন বলেন, এ প্রকল্পটি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এটি বাস্তবায়ন হলে নগরের চন্দগাঁও জানালীহাট থেকে চুয়েট হয়ে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। খবর বাংলানিউজের

Facebook Comments Box
You might also like