মদ খেয়ে বেসামাল নোবেল

৯১

ডেস্ক রিপোর্ট :

ভারতের রিয়েলিটি শো ‘‘সারেগামাপা’’ থেকে উঠে আসা তরুণ গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে নিয়ে আবারও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তিনি বান্দরবান ভ্রমণে গিয়ে মাদক সেবনসহ একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। শহরের সর্বত্র এখন নোবেলকে নিয়ে আলোচনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে এক কথিত প্রেমিকাসহ আরও একজনকে নিয়ে বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে ভ্রমণ করেন তিনি। এ সময় প্রকাশ্যে মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন নোবেল । এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।

সূত্র আরও জানায়, এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে বান্দরবান শহরে যান নোবেল। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বান্দরবান সদরের রুমা বাসস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন তারা। পরদিন (২৬ আগস্ট) সকালে হোটেল থেকে বের হয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে ঘোরাঘুরি এবং উদ্ভট আচরণ শুরু করেন স্থানীয়দের সঙ্গে।

তার এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত ও বিরক্ত হন। সন্ধ্যার দিকে হোটেলে ফিরে যান তিনি। দিবাগত রাত ১২টার দিকে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে মদপানের পাশাপাশি চিৎকার ও শোরগোল শুরু করেন নোবেল। এ সময় তাকে শান্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।

তার আচরণে হোটেলে থাকা অন্যান্য অতিথিরা বিরক্ত হলে তাকে বোঝাতে যান এক ব্যক্তি। তাকেও লাঞ্ছিত করেন নোবেল। পরে হোটেলের মালিক মো.জাফর নোবেলের এসব কর্মকাণ্ডের কথা পুলিশকে জানান। তারা এসে রাত ৩টা পর্যন্ত নোবেলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ভোরবেলা তিনি ঘুমাতে যান।

এদিকে, শুক্রবার নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলেন, যে মেয়ের সঙ্গে নোবেল বান্দরবানে গিয়েছে সে একজন এয়ার হোস্টেস। চাকরির আড়ালে মেয়েটা বিভিন্ন স্থানে মাদক আনা-নেওয়া করে। নোবেল-জেবা দুজনেই মাদকাসক্ত।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিষয়ে আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

 

Facebook Comments Box
You might also like