রাঙামাটি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন, আনন্দের পাশাপাশি ক্ষোভ

১২৪

স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাঙামাটি জেলা শাখার আংশিক কমিটি গঠনের তিন বছর দুই মাস পর ১৭৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিলো কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। শুক্রবার (২৭ আগস্ট ২০২১) এ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান খোকন। এর আগে ২০১৮ সালের ৫জুন রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের ৩২ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন রাজীব হাসান ও মোহাম্মদ আকরামুল হাসান এর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলা কমিটির মেয়াদ দুই বছর। সে হিসেবে আংশিক কমিটির মেয়াদ শেষ হবার এক বছর দুই মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরও ছন্দ পতনের এ কমিটিকে ঘিরে রাঙামাটিতে ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ ছড়িয়েছে। পদ পেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন নেতাকর্মীরা। তবে কেউ কেউ এ কমিটি নিয়ে হতাশা আর ক্ষোভ জানিয়েছেন।

খবর নিয়ে জানা গেছে, আংশিক জেলা কমিটি গঠনের পর দীর্ঘ সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না আসায় ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির বদল হয়েছে একদফা। আর জেলা কমিটিতে নাম আসা অনেক নেতা কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন, অনেকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। কিন্তু আশা ছাড়েননি কেউ। এর মাঝেও পদ পাবার আশায় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বেশিরভাগ। তবে নতুন ছাত্রদের আগমনে জট বেধেছে পদ প্রার্থীদের। তাই ১৭৩ সদস্যের দীর্ঘ কমিটি দেয়ার পরও পদ না পাওয়ার ক্ষোভ ঝারছেন অনেকে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট ২০২১) রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হবার পর শুভেচ্ছা অভিনন্দনের পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এদিকে ছাত্রদলের এক নেতা এক পদের নতুন নীতিমালার কারণে অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি থেকে অনেকে বাদ পড়েছেন যারা বিভিন্ন থানা, উপজেলা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদে রয়েছেন। বাদ পড়াদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি আংশিক কমিটিতে নাম আসার পর তারা ইউনিট কমিটির পদে এসেছেন। বাদ পড়াদের অনেকে আবার তা মেনে নিয়েছেন। জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়া রাঙামাটি সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব অলি আহাদ বলেন “নতুন নীতিমালার কারণে আমরা জেলা কমিটিতে আসতে পারিনি। তিনি বলেন, সুন্দও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি অনুমোদ দেয়া হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে আমাদের সংগঠনের কাজের আরো গতি বাড়বে”।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাব্বির বলেন, “দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রাঙামাটি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর পুরো জেলায় ছাত্রদল নেতা কর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। নতুন উৎসাহ নিয়ে রাঙামাটি ছাত্রদল ভবিষ্যতের আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।” তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলে অবস্থান করায় সরকারের নানামূখী চাপ, মামলা হামলা, কেন্দ্রীয় কমিটির বদল হওয়া এবং মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেতে সময় লেগেছে। তার ভাষ্যমতে রাঙামাটি ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি না পেলেও দেশের বহু জেলার চেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলো রাজপথে। এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাওয়ার পর রাঙামাটি জেলায় ছাত্রদলে কার্যক্রম আরো তীব্র গতিতে চলবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন “দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন হিসেবে রাঙামাটি জেলা কমিটি নিয়ে তেমন কোন অসন্তোষ নেই। দলের নেতা কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে তাই পদ না পাওয়ার অসন্তোষ থাকাটাই স্বাভাবিক”।

Facebook Comments Box
You might also like