তিন মন্দির চুরির পর ধরা পড়লো লিটন দাশ
স্টাফ রিপোর্টার :
রাঙামাটি শহরের তিনটি মন্দির চুরির ঘটনায় জড়িত চোর লিটন দাশকে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে রিজার্ভ বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাকে পুলিশের হাতে দেয়া হয়। রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন এর হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে শংকর মিশন, আসামবস্তী শিব বাড়ী, ও লোকনাথ যোগাশ্রমের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায় গত ২৪ ঘন্টায় রাঙামাটি শহরের তিন সনামধন্য মন্দিরের স্বর্ণ ও রূপার অলংকার এবং পূজার সামগ্রী চুরি হয়েছে। গত শুক্রবার ভেদভেদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী যোগাশ্রম এবং শনিবার ভেদভেদী শংকর মিশন ও আসামবস্তি শিব মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। শংকর মিশনে সিসিটিভিতে চশমা পড়া চোরকে দেখা যায়।
গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভেদভেদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী যোগাশ্রম থেকে দুই আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চাঁদ এবং একটি প্রায় ৮ আনা ওজনের রূপার চেইন চুরি হয়। এর পরদিন বেলা ১১টা ৪৮মিনিট থেকে ১২টা ৬মিনিট পর্যন্ত ১৮ মিনিটে শংকর মিশনের শিব লিঙ্গের পাশ থেকে পিতলের একটি গরু, প্রতিমার গায়ে থেকে একটি রপার চেইন ও কয়েকটি পূজার থালা চুরি করে নিয়ে যায় এই তরুণ। যা মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। একইদিন দুপুরে আসামবস্তি শিব মন্দির থেকে ১৫ ভরি রূপার অলংকার ও পূজার সামগ্রী চুরি হয়েছে।
পুলিশ জানায় আটক লিটন দাশের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার মরফলা গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়া। সে অর্জুণ দাশের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে আরো ২ টি মন্দিরের চুরির মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে চোর আটকের খবর পেয়ে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন মন্দির কমিটির লোকজন রাতে থানায় উপস্থিত হয়। তারা এই চোরের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, রাঙ্গামাটির তিনটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় ও সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আমরা শংকর মিশনের সিসিটিভির ফুটেজের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোরের ছবি ছড়িয়ে দেই। তখন রাঙামাটির এক সাংবাদিক আমাকে রাত সাড়ে ৯ টায় ফোন দিয়ে চোরকে দেখতে পাওয়ার কথাটি নিশ্চিত করেন। পতাকে অনুরোধ করলে তিনি চোরকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ধরে তার জিম্মায় রেখে দেয়। পরবর্তীতে আমরা গিয়ে তাকে ওখান থেকে রাঙামাটি থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।