লাগাতার লকডাউন নেতিবাচক প্রভাব রাঙামাটির অর্থনীতিতে
স্টাফ রিপোর্টার : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের দেয়া লাগাতার লকডাউন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে রাঙামাটির অর্থনীতিতে। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন খাত এবং সংশ্লিষ্ট হোটেল মোটেলসহ স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহ। আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় বাড়ছে খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ। কর্মহীন মানুষের জন্য এখনো মেলেনি উল্লেখযোগ্য কোন ত্রাণ সহায়তা।
করোনার দ্বিতীয় থাবায় থমকে গেছে রাঙামাটি জেলার অর্থনৈতিক চাকা। পর্যটন খাতের উপর অনেকটা নির্ভর করে এই জেলার ব্যবসা বাণিজ্য। এ ছাড়াও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছেন, গাছ, মাছ ও কৃষিপণ্যে ও ক্ষুদ্র ব্যবসার উপর নির্ভর মানুষ। এ অবস্থায় কর্মহীন মানুষ তাতের জীবন জীবিকা নিয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন। গেল বছর লকডাউনে কর্মহীন মানুষ ত্রান সহায়তা পেলেও এবার এখনো ত্রানের দেখা মেলেনি।
এ জেলার পর্যটন শিল্পকে ঘিরে গড়ে উঠেছে হোটেল মোটেলসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসা। কিন্তু করোনার প্রভাবে গেল বছর থেকে সম্মুখিন হয় পর্যটনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসা। মাঝখানে করোনা সংক্রামন কমলে কিছুটা সময় পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হলেও ঘুরে দাঁড়াবার আগেই এ বছর আবারো করোনার থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন ব্যবসা।
রাঙামাটি জেলায় করোনা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বললেন অবশ্যই জীবনের সাথে জীবিকার ব্যবস্থাও করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সরকার প্রনোদনা কর্মসূচি চালু রাখবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সরকার প্রনোদনার উদ্যোগ নিবে।
মহামারীর এ দুঃসময়ে না কাটা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্টির পূর্নবাসনে সরকারকে প্্রয়োজনীয় উদ্যোগ পরিকল্পনা হাতে নেয়ার আহবান জানান সংশ্লিষ্টরা।